শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:০২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:: এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষাথীদের সংবর্ধনা দিয়েছে ঢাকা জেলা দক্ষিণ ছাত্র শিবির।
শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল ১১ টায় নবাবগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এ আয়োজন করে। এতে দোহার নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জের কৃতি শিক্ষার্থী অভিভাবক ও শিক্ষকরা অংশ নেয়। গত দুই দশকে এবারই তাঁরা প্রকাশ্যে এ ধরনের অনুষ্ঠান পালন করে।
ঢাকা জেলা দক্ষিণ শাখা শিবিরের সভাপতি মাহবুব আলম সিয়ামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু ফাত্তাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা-১ (দোহার নবাবগঞ্জ) আসনের জামায়াত মনোনীত আগামী নির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রার্থী শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
এছাড়া প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম, বিশেষ অতিথি শিবিরের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মোঃ আনিসুর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সভাপতি মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা জেলা জামায়াত আমীর মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন, শিবিরের সাবেক জেলা সভাপতি মামুনুর রহমান, এডভোকেট মাওলানা ইব্রাহীম খলিল, মোহাম্মদ আলী, মোস্তাক আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ গড়তে ছাত্র শিবির সব সময় কাজ করেছে। তাঁদের সেই উদ্যোগ থেকেই কৃতি শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে সম্মাননা দেয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাঁদের উচ্চ শিক্ষার বিষয়েও পাশে থাকতে চায় ইসলামী ছাত্র শিবির। এসময় তিনি বলেন, ছাত্র শিবির লেখাপড়ার পাশাপাশি জুলাই আন্দোলনে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে মরণপণ লড়াই করেছে। তাঁদের এ অবদান যদি কেউ মুছে ফেলতে চান তারা নিজেরাই নিশ্চিহ্ন হবেন। তিনি আগামী দিনে দোহার নবাবগঞ্জকে শান্তির নীড় হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের পাশে থেকে কাজ করতে প্রতিশ্রতি দেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা সাদিক কায়েম বলেন, দেশকে মেধা শুন্য করতে হাসিনা সরকার ছাত্রদের উপর গুলি চালিয়েছে। নতুন বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিবাদের সৃষ্টি হবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই হবে ছাত্রদের ভরসার জায়গা। ইসলামী ছাত্র শিবির আপনাদের পাশে থেকে শিক্ষাঙ্গনের সব নৈরাজ্য দূর করতে কাজ করবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ছাত্র শিবিরের ছেলেরা কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়। পরে তাঁদের হাতে পুরস্কার ও ক্রেষ্ট তুলে দেন অতিথিরা। এসময় প্রায় দুই শতাধিক কৃতি শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।